Ticker

6/recent/ticker-posts

সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদ | সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিকার অনুচ্ছেদ

সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদ

বর্তমানে সারা বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। বেশির ভাগ সড়ক দুর্ঘটনা শহর এলাকায় এবং মহাসড়কে ঘটে। এটি বাস, ট্রাক, রিকশা, বেবি ট্যাক্সি ইত্যাদি দ্বারা সংঘটিত হয়। রাস্তায় দুর্ঘটনার কারণ হল বেপরোয়া ড্রাইভিং, গাড়ির ব্রেক ফেইল করা, একটি গাড়ি অন্য গাড়ির ওভার টেকিং এবং অদক্ষ চালকদের দ্বারা গাড়ি চালানো। যানবাহনের অতিরিক্ত বোঝাই দুর্ঘটনার আরেকটি কারণ। আরেকটি কারণ ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন। এমনকি পুলিশও ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যার ফলে ভারী যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হচ্ছে পথচারীরা। অনেক সময় দ্রুতগতির যানবাহন রাস্তার পাশের খাদে বা নদীতে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই যাত্রীদের প্রাণহানি ঘটায়। অনেকের জীবন অঙ্কুরে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। অনেক পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারায়। বহু মানুষ পঙ্গু হয়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনা অনেক শিশুকে এতিম করে। অনেক স্ত্রীর বিধবা হয়ে যায়। তাই সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জীবনে অভিশাপের মতো। কর্তৃপক্ষ এবং সাধারণ জনগণ উভয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সমস্যাটি সমাধান করা যেতে পারে। তা করতে হলে আগে আমাদের সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। চালকদের দক্ষ হতে হবে এবং তাদের ওভারটেক করার প্রবণতাও এড়াতে হবে। আর নিয়ম প্রয়োগে কর্তৃপক্ষকে আরো কঠোর হতে হবে। ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে আরোপ করতে হবে। পথচারী ও চালকদের সচেতন হতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার বয়াবহতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে রেডিও ও টেলিভিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা উচিত।

সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদ

সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদ

সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের দেশে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা হলো সড়কে আকস্মিক এবং অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা। প্রায় প্রতিদিনই আমরা সড়ক দুর্ঘটনার খবর শুনি। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। যেমনঃ বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ কিন্তু অধিক জনবহুল। আমাদের দেশের রাস্তা-ঘাট সরু এবং আকাঁবাকাঁ। প্রতি বছর জনসংখ্যা বাড়ছে এবং যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে কিন্তু রাস্তার সংখ্যা একই। তাড়াহুড়ো করে গাড়ি চালানো সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ। চালকদের ওভারটেকিং প্রবণতাও সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তারা অন্য যানবাহনকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে। তারা ট্রাফিক নিয়ম মানে না। কখনো কখনো তারা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালায়। গাড়ি চালানোর সময় পাশে তারা মোবাইলে কথা বলে বা ধূমপান করে। এছাড়া ত্রুটিপূর্ণ ও পুরনো যানবাহন সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ায়। ফলে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনা মানুষের দুর্ভোগ বয়ে আনে। অনেক মূল্যবান প্রাণ হারাচ্ছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সরু রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে এবং আরও ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করতে হবে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের আধুনিক ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন অপসারণ করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স সততা ও যথাযথভাবে জারি করতে হবে। এইভাবে, আমরা একটি ভাল ভবিষ্যতের জন্য আশা করতে পারি।

সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদ

সাধারণত রাস্তায় যে দুর্ঘটনা ঘটে তাকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে। আমাদের দেশের রাস্তাঘাটে সড়ক দুর্ঘটনা একটি সাধারণ ঘটনা। প্রতিদিন আমরা খবরের কাগজে অসংখ্য সড়ক দুর্ঘটনার কথা শুনি। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। বেশিরভাগ দুর্ঘটনা সাধারণত শহর এলাকায় ঘটে। রাস্তায় দুর্ঘটনার অনেক কারণ রয়েছে। ট্রাফিক আইন না মানা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ওভারটেক করার প্রবণতা এবং অদক্ষ চালকদের সহ বিভিন্ন কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বাস, ট্রাক, রিকশা, ট্যাক্সি, এবং অন্যান্য যানবাহন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু রাস্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে না। অন্যদিকে পথচারীরাও সাধারণত ওভার ব্রিজ ব্যবহার করে না। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। তাই জনগণের সচেতনতার অভাবও সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার পেছনে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের শহরগুলোতে টেম্পো, লেগুনাসহ বিভিন্ন ধরনের ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রয়েছে। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। যাদের গতি অনেক বেশি কিন্তু ব্রেক অতটা উন্নত না হওয়ায় তারা গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই সহজেই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জীবনের জন্য অভিশাপের মতো। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সরকার ও জনগণ উভয়কেই সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ট্রাফিক আইন আরো কঠোর করতে হবে এবং ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। ওভারটেকিং ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা উচিত। রাস্তা পার হওয়ার সময় সবাই ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে বাধ্য হবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করা। রেডিও ও টেলিভিশন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদ

সড়ক দুর্ঘটনা মানব জীবনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, অপ্রত্যাশিত, অসহনীয় ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জীবনের জন্য ভীতিকর। সাম্প্রতিক সময়ে তা আরও বেড়েছে। প্রতিদিন সকালে খবরের কাগজ খুললে  সড়ক দুর্ঘটনার খবর দেখতে পাই। বিশেষ করে মেট্রোপলিটন শহরগুলিতে, লোকেরা যানবাহন চালানোর সময় আরও অসাবধান হয় যা শেষ পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনার দিকে পরিচালিত করে। শহর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বেপরোয়া গাড়ি চালানো। চালকরা এত বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালায় যে তারা প্রায়শই তাদের যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং দুর্ঘটনা ঘটায়। এছাড়াও, রাস্তায় অনেক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রয়েছে। এসব যানবাহন ভারসাম্য হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়। আবার কিছু চালক আছে যারা অদক্ষ। তারা কোনো না কোনোভাবে ঘুষের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করে। এসব চালক তাদের যানবাহন ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে দুর্ঘটনা ঘটায়। খারাপ রাস্তার কারণে কিছু দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে অনেক রাস্তা খুবই অনিরাপদ। এসব সড়কে বড় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাব বিপজ্জনক। দুর্ঘটনা মূল্যবান জীবন কেড়ে নেয়। কোনো কোনো পরিবারের উপার্জনক্ষম সদস্য দুর্ঘটনায় মারা গেলে অসহায় হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় কেউ কেউ পঙ্গু ও পঙ্গু হয়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। 

চালকদের জন্য করণীয়, যেমন: 
  • নির্ধারিত গতিসীমার মধ্যে গাড়ি চালানো।
  • গাড়ি চালানোর সময় মদ্যপান বা ধূমপান করা যাবে না। 
  • সকলের নিরাপত্তার জন্য সমস্ত ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলুন।
  • গাড়ি চালানোর সময় কখনই মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।
  • সর্বদা সঠিক লেনে গাড়ি চালানো।
  • বাইক চালানোর সময় সবসময় হেলমেট ব্যবহার করা।
পথচারীদেরও সচেতন হতে হবে। রাস্তা পারাপারের সময় তাদের উচিত ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করা। চালককে প্রশিক্ষিত হতে হবে এবং ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন অপসারণ করতে হবে। পরিশেষে সকলের সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। 

Post a Comment

0 Comments