Ticker

6/recent/ticker-posts

পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদ | অনুচ্ছেদ: পরিবেশ দূষণ

পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদ:

  1. ক. পরিবেশ দূষণ কি?
  2. খ. পরিবেশের উপাদানগুলো কী কী?
  3. গ. পরিবেশ দূষণ বলতে কী বোঝ?
  4. ঘ. কোন জিনিসগুলি পরিবেশকে দূষিত করে?
  5. ঙ. পরিবেশের উপাদানগুলো কীভাবে দূষিত হয়?
  6. চ. বায়ু কিভাবে দূষিত হয়?
  7. ছ. পানি কিভাবে দূষিত হয়?
  8. জ. কিভাবে শব্দ দূষিত হয়?
  9. ঝ. পরিবেশ দূষণ কেন ক্ষতিকর?
  10. ঞ. আমরা কিভাবে দূষণ বন্ধ করতে পারি?

অনুচ্ছেদ ১ঃ পরিবেশ দূষণ

সুস্থ জীবন যাপনের জন্য সুন্দর পরিবেশ খুবই প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে শিল্পোন্নত সমাজের একটি গুরুতর সমস্যা হলো পরিবেশ দূষণ। বিশ্বব্যাপী শিল্পায়ন ও আধুনিকায়নের ফলে আমাদের পরিবেশ দিন দিন দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ দূষণের অনেক কারণ রয়েছে। যেমন: কল-কারখানার ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত গ্যাস নির্গত করে যা বাতাসে মিশে বায়ু দূষণ ঘটায়। মানুষ ফেলা দেওয়া সব বর্জ্য নদী ও সাগরে ফেলে দেয়। এভাবে প্রতিদিন পানি বিষাক্ত হচ্ছে। বন উজাড়ও একটি বড় কারণ। শিল্পায়নের ফলে নগরায়ন হয়েছে। কাজের সন্ধানে গ্রামের মানুষ শহরে অভিবাসন হচ্ছে যার ফলে জনসমাগম এবং বস্তি এলাকা গড়ে উঠেছে। শহরগুলিতে ধোঁয়া, ধুলো, গ্যাস, গন্ধ ও কোলাহল বৃদ্ধি পেয়েছে যা একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করেছে। 

পরিবেশ দূষণ মানব ও প্রাণী জীবনে অনেক খারাপ প্রভাব ফেলে। পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন প্রাণীর আজ বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে মাছ, তিমি এবং ডলফিনের মতো সামুদ্রিক প্রজাতি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ মধ্যে রয়েছে। এভাবে পরিবেশ দূষণ চলতে থাকলে কয়েক দশকের মধ্যেই আমরা হারিয়ে ফেলব আমাদের বৈচিত্র্যময় সব প্রাণী। তাই পরিবেশ দূষণ রক্ষার জন্য আমাদের সকলের একসাথে কাজ করা উচিত। 

পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদ


অনুচ্ছেদ ২ঃ পরিবেশ দূষণ

আমাদের চারপাশে যা আছে সেগুলো নিয়েই আমাদের পরিবেশ। বায়ু, পানি, মাটি, গাছ ইত্যাদি পরিবেশের উপাদান। আমাদের জীবন পরিবেশের সাথে গভীরভাবে জড়িত। তাই এই পরিবেশের যে কোনো দূষণ আমাদের জীবনের জন্য বিপদ ডেকে আনে। বর্তমানে পরিবেশ দূষণ বিশ্বের অন্যতম আলোচিত বিষয়। আমাদের পরিবেশ দুটি উপায়ে দূষিত যেমন: বায়ু দূষণ এবং পানি দূষণ। 

বায়ু নানাভাবে দূষিত হয়। যেমন: ধোঁয়া বাতাসকে দূষিত করে, আর মানুষ তার খাবার রান্না করতে আগুন ব্যবহার করে, ইট তৈরি করে, রাস্তা তৈরির জন্য পিচ গলায় এবং কাঠ পোড়ায় যা ভারী ধোঁয়া তৈরি করে এবং এই ধোঁয়া বায়ুকে দূষিত করে। বাস, ট্রাক এবং গাড়ি পেট্রোল এবং ডিজেল ব্যবহার করে এগুলিও  বায়ু দূষণ ঘটায়। 

পানি নানাভাবে দূষিত হয়। যেমন: কৃষকরা তাদের জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে বেশি খাদ্য উৎপাদন করে। বৃষ্টি ও বন্যা কিছু রাসায়নিক পদার্থকে ধুয়ে দেয়। এগুলো খালের পানি ও নদীর পানিতে মিশে যায়। কল-কারখানার বর্জ্য পদার্থ নদী ও খালে ফেলে পানি দূষিত করে। স্টিমার, লঞ্চ, এমনকি পালতোলা নৌকাগুলো বড় বড় খাল ও নদীতে তেল, খাদ্যবর্জ্য এবং মানুষের বর্জ্য ফেলে পানিকে দূষিত করে।

এভাবে বায়ু ও পানি দূষিত হয় এবং এর ফলে আমাদের পরিবেশ দূষিত হয়। পরিবেশ দূষণ খারাপভাবে এবং গুরুতরভাবে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে এবং অনেক রোগের কারণ হয়। তাই পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

অনুচ্ছেদ ৩ঃ পরিবেশ দূষণ

পরিবেশ দূষণ আজকাল একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরায়ণ ও শিল্প খাতের অগ্রগতির ফলে দূষণ অনেকাংশে বেড়েছে। মানুষ রাস্তা তৈরির জন্য ইট, গলিত পিচ ইত্যাদি তৈরির জন্য গাছ কাটছে। ফলে বায়ু দূষিত হচ্ছে। আবার বিভিন্ন মোটরযান, পাওয়ার হাউস, শিল্প ইত্যাদি হতে ধোঁয়া নির্গত করে এবং বায়ু দূষিত করছে। কৃষকরা তাদের জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে পানি ও মাটি। এছাড়া নদ-নদীতে পানিবাহী যানবাহন পানিকে মারাত্মকভাবে দূষিত করছে। মানুষ এখানে-সেখানে ময়লা, আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করছে। 

এইভাবে আমরা দেখতে পাই যে আমাদের পরিবেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি তাদের সতেজতা হারাচ্ছে এবং ধারাবাহিকভাবে আমাদের পরিবেশকে দূষিত করছে। পরিবেশ দূষণের প্রভাব খুবই মারাত্মক। পরিবেশ দূষণ আমাদের স্বাভাবিক জীবনের জন্য বড় হুমকি। এটি পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। তাই সুখী ও সুস্থ জীবনযাপন করতে হলে অবশ্যই পরিবেশ দূষণ রোধে কাজ করতে হবে। আর এ জন্য অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

অনুচ্ছেদ ৪ঃ পরিবেশ দূষণ

পরিবেশ দূষণ বর্তমানে একটি প্রধান এবং গুরুতর হুমকি। প্রকৃতি প্রদত্ত সম্পদ থেকে আমরা সবাই  উপকৃত হই। আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। কিন্ত প্রতিদিন আমরা আমাদের পরিবেশের দূষণ করে যাচ্ছি। 

পরিবেশ দূষণের কারনে আমাদের পৃথিবী প্রাণী বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। এটা যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে মানব সভ্যতা ধ্বংসের মুখে পড়বে। বর্তমানে আমরা অনেক ধরনের পরিবেশ দূষণের সম্মুখীন। তাদের মধ্যে প্রধান দুটি দূষণ হচ্ছে, বায়ু ও পানি দূষণ। শিল্প ও কলকারখানা প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া, গ্যাস এবং ধোঁয়া নির্গত করে। মোটর গাড়িগুলিও প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া এবং গ্যাস নির্গত করে। এসবই বায়ু দূষণের কারণ। শিল্প বর্জ্যের ডাম্পিং এবং রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক দ্বারা পানি দূষিত হয়। এছাড়াও শব্দ দূষণ ও মাটি দূষণের ফলেও মানব জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। 

গাছ কাটা পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। অধিক গাছ কাটার ফলে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী ও সুন্দর রাখতে গাছ কাটার পরিবর্তে আমাদের আরও বেশি করে গাছ লাগানো উচিত।

পরিবেশ দূষণের কারনে দিন দিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন ক্ষতিকারক গ্যাসগুলো পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে যা আমাদের পৃথিবীকে ধ্বংসের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে। প্রাণী জীবন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এটি বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন করে এবং বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আসে। এভাবে পৃথিবী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। জীবনকে সুস্থ ও আরামদায়ক করতে পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে। 

আমাদের প্রতিদিনের ময়লঅ ও আবর্জনা যেন নদী বা সমুদ্রে না ফেলা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া, এ ব্যপারে আমাদের দেশের সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সাথে আমাদের নিজেদেরকে পরিবেশ রক্ষায় আরও সচেতন হতে হবে।

আরো পড়ুন: বিশ্বায়ন অনুচ্ছেদ

প্রশ্ন ১: পরিবেশ দূষণ কি?

উত্তরঃ যে সকল দূষিত পদার্থ প্রাকৃতিক পরিবেশে উপস্থিত থাকে এবং বিরূপ পরিবর্তন আনে তাকে পরিবেশ দূষণ বলে।

প্রশ্ন ২: দূষণ কত প্রকার?

উত্তর: আমাদের প্রকৃতিতে চার ধরনের দূষণ রয়েছে।

১. পানি দূষণ
২. মাটি দূষণ
৩. বায়ু দূষণ

প্রশ্ন ৩. দূষণ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো?

উত্তর : গাছ লাগিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। গাছপালা দূষণ কমাতে এবং প্রকৃতিতে ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে। প্রাইভেট কারের পরিবর্তে সরকারি যানবাহন বা গণ পরিবহন ব্যবহার করলে দূষণ কমানো যায়।

Post a Comment

0 Comments